Blog

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সবচেয়ে বড় বাধা দক্ষ জনশক্তি। শিক্ষার মূল ধারায় কারিগরি শাখা গুরুত্ব না পাওয়ায় জনশক্তির দক্ষতা বাড়ছে না, বাড়ছে বেকারত্ব। এ অবস্থার উত্তরণে কারিগরি শিক্ষার বিস্তারের কোন বিকল্প নেই। সরকারও ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। যশোরের বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় হলরুমে ১৩ মার্চ ২০১৮ অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল ও হেলাতলা আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।

বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় স্ব উদ্যোগে দুই মাসব্যাপি সম্মানিত শিক্ষক ও এসএসসি/সমমান পরীক্ষার্থীদের সাথে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভা বাস্তবায়ন করছে। বিসিএমসি কর্তৃপক্ষ নিজস্ব পরিবহনে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করছে।

বিসিএমসি অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এসএম রেজাউল কবীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিসিএমসি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির,  বিশেষ অতিথি ছিলেন কলারোয়া পাইলট হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মো. গোলাম রব্বানী, হেলাতলা আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল আলিম ও জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার সরকার।

স্বগত বক্তব্য রাখেন বিসিএমসি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সারাফাত হোসেন।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কলারোয়া পাইলট হাইস্কুলের রিফাত রহমান, হেলাতলা আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  শোভারানী বিশ্বাস ও জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মো. সবুজ হোসেন। সভায় কারিগরি শিক্ষার গুরুত্বের উপর একটি ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন লেকচারার প্রকৌশলী মো. শামীম রেজা। অনুষ্ঠানে কলারোয়া পাইলট হাইস্কুলের ট্রেড ইন্সট্রাকটর শেখ আশরাফুল কবীর ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান; জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তপতী রানী সরদার, সহকারী শিক্ষক শংকরচন্দ্র, গোকুল কুমার দাস, আব্দুস সালাম, তিমিরকান্তি রায়, মো. সিরাজুল ইসলাম ও মো. আয়ুব হোসেন ও দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এরআগে শিক্ষার্থীরা বিসিএমসি ফাউন্ডেশনভুক্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ ও বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় ঘুরে দেখেন।